খুলনায় মাদক মামলায় এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে আপীল শর্তে জামিন পেলেন বিএনপি ১০নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহামান মাজুসহ দু’জন।
রোববার (১৮ মে) খুলনার মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ আকরাম হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর আপীল শর্তে তাদের উভয়ের মুক্তি মেলে।
রোববার (১৮ মে) এ রায় ঘোষণা হলেও একদিন পর ঘটনাটি জনাজানি হয়। বিএনপি’র ওই সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মাজু খালিশপুর কাশিপুর কলোনী এলকার বাসিন্দা খলিলুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১৪ টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নগরীর খালিশপুরের কাশিপুর হাউজিং এলাকায় পুলিশের অভিযান চলাকালে ২০ পিচ ইয়াবাসহ আটক হন বিএনপি ১০ নং ওয়ার্ড বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মফিজুুর রহমান মাজু এবং তার সহযোগী আবু দাউদ।
এ ঘটনায় খালিশপুর থানার এসআই আবুল হাসানাত বাদী হয়ে ওই দু’জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন, যার নং ২৪। একই বছরের ২৩ অক্টোবর খালিশপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।
রোববার খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ আকরাম হোসেন তাদের দু’জনকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পাশাপাশি তাদের দু’জনকে ৫ হাজার টাকা জারিমানা, অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরবর্তীতে একই আদালত আপীল শর্তে তাদের মুক্তি দেন।
বাদী পক্ষের খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি হুমায়ুন কবির উজ্জল সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আপীলের শর্তে তাদের উভয়কে জামিন দেওয়া হয়েছে।
খুলনার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ জামাল বলেন, মাদক মামলায় ওই দুজনকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত। তারা এই মামলায় নিয়মিত হাজিরা দিতেন। ২০ কার্যদিবসের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করবেন-এই শর্তে জামি দিয়েছেন আদালত। আপীল না করলে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হবে।
এদিকে খালিশপুর থানা সূত্র জানায়, মফিজুুর রহমান মাজুর বিরুদ্ধে ১৪টি মামলার রেকর্ড পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অধিকাংশই মাদক মামলা।
খুলনা গেজেট/এমএনএস